অল্প টাকায় অনলাইনে ব্যাবসা সম্ভব কিনা। সম্পূর্ন গাইডলাইন

অনেকেই আছেন যারা ভাবছেন ব্যাবসা করব কিন্তু টাকা নেই, কি করব। কিভাবে শুরু করব তাদের জন্য আমার আজকের এই পোস্টটি। আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে বিশদভাবে আলোচনা করব কিভাবে একটা ব্যাবসাকে দাড় করানো যায়, ব্যাবসা করার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত, এবং কেন আমরা ব্যাবসায় র্ব্যাথ হই।

তার আগে একটা কথা বলে নেই কোন পেশাই ছোট না। সবকিছুতেই সফল হওয়ার একটা নিয়ম বা আছে যেগুলো অনুসরনের মাধ্যমে তার চূরান্ত পর্যায়ে পৌছানো যায়।


অল্প  টাকায় ব্যাবসা সম্ভব: 

অল্প পুজিতে ব্যাবসা করা কিনা, এর উত্তর দিতে গেলে আমাদের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে, যেমন: আপনার র্ধৈয, মনমানসিকতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ইত্যাদি।

বিষয়টি আপনাকে বুজিয়ে বলি, ধরুন আপনি একটা ইউটিব চ্যানেল খুললেন, এবং ভাবতে শুরু করলেন আপনিও বড় বড় ইউটিউবারের মন ঘরে বসে ইনকাম করবেন। কিন্তু মাস শেষে একটি টাকাও হাতে পেলেন না।

কারণ শুধু ইউটিব চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করা যায় না, এরজন্য আপনার প্রয়োজন কনটেন্ট ক্রিয়েটের মনমানসিকতা, র্ধৈয্য,এবং আপনার ক্রিয়েটিভির।

 এসব কিছু যদি আপনার কাছে থাকে, তাহলে বিশ্বাস করেন আপনিও ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ব্যাবসার পরিকল্পনা করতে হবে:

এটা ব্যাবস্যা শুরু করার আগে সেই ব্যাবসা সম্পর্কে ভালোভাসে রির্সাচ করা অনেক জরুরী। কেননা রিসার্চের মাধ্যমে ব্যাবসাটি করার মাধ্যমে কি পরিমান লাভ হবে, ব্যাবসাটি আনার জন্য সঠিক কিনা, ব্যাবসাটি করার জন্য আপনি যোগ্য কিনা যেগুলো ভালোভাবে যানা যায়।

 এক্ষেত্রে যে বিষয়টি দেখতে হবে তা হলো, পন্যটির চাহিদা, এবং পন্যটি নির্বাচনের প্রতিযোগিতা।

এক্ষেত্রে দেখতে হবে পন্যটি কোন ইউনিকভাবে উপাস্থাপন করা যায় কিনা, কিংবা গেলেও এর ফলে  প্রতিযোগিতা কিরকম কমল।

 পন্য র্নিবচিন: 

ধরে নিলাম আপনি এসব কিছু করে নিয়েছেন, এবং আপনি একটা ব্যাসা করার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত।

বোঝার সুবিধার্থে, ধরে নিলাম আপনি একটি ঘরি অনলাইনে বিক্রি করতে চাচ্ছেন।  

এজন্য আপনাকে একটা ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে হবে, এবং পেজটিতে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করতে হবে। আপনার প্রোডাক্টটি (ঘড়ি) কেন অন্য সব প্রোডাক্ট এর চেয়ে ভালো, কেন আপনার প্রোডাক্টটি কেনা উচিত, এবং এর সুবিধা সমূহ বিশদভাবে আলোচনার করতে হবে। যাতে যে কিনবে তার কাছে অনেক আকর্ষনীয় লাগে।

 পাশাপাশি আপনি ইউটিউবএ ও ভিভিওি প্রকাশ করতে পারেন এবং কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট দিয়েও মার্কেটিং করতে পারে। উদাহরণ স্বরুপ ডারাজ.কম

 পাশাপাশি বেশী বাজেট থাকলে প্রডাক্টি ফেসবুক, ইউটিউবেও এডস এর মাধ্যমে সেলস বাড়াতে পারেন। 

 যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ 

প্রথমেই বেশী বাজেট দিয়ে ব্যাবসা করা উচিত না, কারণ কোন কিছু ভালোভাবে না যেনে সেই বিষয়ে ইনভেস্ট করা অনেকটা বোকামি মতো। কারণ অবিজ্ঞতা ছাড়া কখনো সফল হওয়া যায়, আর ইউটিব, ফেসবুক দেখে কোন কিছু শিখে , ওই বিষয়ে না ভেবেই ইনভেস্ট করে টাকা ইসকাম করা যায় না।

প্রতিটি চ্যানেল, কিংবা সািইটের লক্ষ্য থাকে অ্যাট্রাকটিভ কিছু দিয়ে ভিউ বাড়ানো। এক্ষেত্রে তাদের কোন অবিজ্ঞতা না থাকতেও পারে।

কিছু প্রশ্নের উত্তর:

অনলাইন থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়

অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের নিদিষ্ট কোন লিমিট নেই যে আপনি মাসে এত টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সর্ম্পূনটাই আপনার কাজের ধরনের উপর র্নিভর করে।

গ্রামীন এলাকায় অনলাইনে ব্যাবসা করা সম্ভব:

হ্যা সম্ভব যদি আপনার এলাকায় ভালো নেটওর্য়াক পায়।   

 উপসংহার: 

ইচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব, প্রয়োজন শুধু লক্ষ্য স্থির রেখে সঠিক গন্তব্যের দিকে ধাবিত হওয়া। চেষ্ঠা রাখেন ইনশাআল্লাহ আপনিও একদিন সফল হবে।

 আজকের পোস্ট এই পযর্ন্ত। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪